দেবদাস মজুমদার:
দৃঢ়তায় দীর্ঘদেহী সুঠাম মানুষ। মাথা ভর্তি ঝাঁকড়া কালো চুল। হেঁটে গেলে বেপথু বাতাসে চুল উড়ত। টগবগে তারুণ্য, বার্ধক্য মানেনি কখনও। অধিকার আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কথা বলতেন সোজা সাপটা। আঙ্গুল উচিয়ে কথা বলতেন। জন্মাবধি এই স্বাধীনচেতা আর সত্যবাদি মানুষের মুখটাকে আমি ভালবেসেছি। আমাদের শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে আর আমাদের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে তাঁর আঙ্গুল উঁচানো বক্তৃতা শুনতে শুনতে আমি বিপ্লবী হয়েছি। মানবতা আর অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়ার মন্ত্র শিখেছি এই দৃঢ়তার কাছে। দেশ,মাটি আর মানুষের অধিকার আদায়ে লড়াইয়ের মন্ত্রমুগ্ধতার পাঠ নিয়েছি। জেনেছি বিপ্লব আসলে ঘরছাড়া এক পাখি।
দক্ষিণ উপকূলীয় এমন সাহসী, দেশপ্রেমিক বিপ্লবী নেতা আজ অবধি আর দেখিনি। ইতিহাস সাক্ষি আছে ।সাক্ষি আছে বলেশ্বর,কচা নদী । সাক্ষি আছে সুনন্দ সুন্দরবনের প্রাণ ও প্রকৃতি। মুক্তিযুদ্ধ সাক্ষি আছে, থাকবে তা আবহমান কাল ধরে। মহতী স্বপ্ন যেমন মরেনা, সাংস্কৃতিক বিপ্লব যেমন কখনই শেষ হওয়ার নয় তেমনি এই দৃঢ়তার মুখাবয়ব কখনই বিলীনের নয়। তিনিই আমাদের জনপদের বিপ্লবের অনন্য বাতিঘর।
তিনি মেজর (অব:)জিয়াউদ্দিন । তিনি এক কিংবদন্তী। মহান মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবন উপকূলের বিপ্লবের অনন্য নায়ক।
Comment here