নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদের রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসায় শিশু গৃহকর্মী জান্নাতিকে (১২) হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভিন। শুক্রবার দুপুরে জান্নাতিকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। তবে এ ঘটনায় মামলার অপর আসামি রোকসানা পারভিনের স্বামী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ পলাতক রয়েছেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল আলীম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে অবস্থিত একটি ছয়তলা ভবনের এক তলায় গৃহকর্মী জান্নাতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বুধবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। জান্নাতির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ।
গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্ত্রী রোখসানা ও তার স্বামীকে আসামি করে বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন জান্নাতির বাবা জানু মন্ডল।
মেয়েটি হত্যার আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কি-না তা পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক বিভাগ। বৃহস্পতিবার মর্গ থেকে স্বজনরা লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যায়।
জানা গেছে, সাইদ আহম্মেদ পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তার বাসা মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে। বাসায় সন্তানসহ স্ত্রী রোখসানা পারভীন থাকেন। সাইদ আহম্মেদ পিরোজপুর থেকে মাঝেমধ্যে বাসায় আসেন। তার বাসায় জান্নাতি ছাড়াও আরও দু’জন গৃহকর্মী রয়েছে। জান্নাতি তিন বছর ধরে কাজ করছিল। তার বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে রোখসানা পারভীন নিজেদের গাড়িতে করে জান্নাতিকে অচেতন অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই জান্নাতির মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদপুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোখসানাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। পিটিয়ে হত্যার পর জান্নাতিকে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে ধারণা পুলিশের।
Comment here