পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বিশ বছর আগে তালাক প্রাপ্ত পঞ্চাশ উর্ধ্ব এক নারী সাবেক স্বামীর বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশনে বসেছে। জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার সোহাগদল গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অনশনে বসা সাবেক ওই নারী জানান, তাদের সংসারে এক ছেলে থাকাকালীন স্বামী ফজলুল হক উপজেলার সুটিয়াকাঠী গ্রামের এক মেয়ের প্রেমে পড়ে। এনিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় তাদের। এক পর্যায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বানারীপাড়ার লবনসারায় বাবার বাড়িতে আমাকে পাঠিয়ে দিয়ে গোপনে তালাক পাঠিয়ে দেয় স্বামী ফজলুল হক। এর মাঝে কেটে যায় বিশ বছর। উভয়ের পরিবারে নাতি নাতনি হওয়ার পর ফজলুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেলে পুনরায় প্রথম স্ত্রীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ শুরু করে এবং পুণরায় বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে রাজী হয়ে স্বামীর সংসারে আসেন এবং শারীরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু হঠাৎ মত পাল্টান ফজলুল হক। তাকে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে বিচার বৈঠক হলেও বিচার মানেনি ফজলুল হক।
এ ব্যাপারে এলাকাছাড়া ফজলুল হক মুঠোফোনে জানান, আমি পাপ করেছি তার খেসারত দিচ্ছি। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।
Comment here