অনলাইন ডেস্কঃ
করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে বেকার হয়ে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার জেলে ও মৎস্যজীবী। সাগর ও সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না জেলেরা। এর উপরে নতুন করে বনদস্যূ আতংক ভর করেছে তাদের উপর। অপরদিকে লকডাউনের ফলে মোকামে মহাজনদের কাছে আটকে রয়েছে জেলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর বালিপাড়ার মৎস্য ব্যবসায়ী দুলাল ফকির বলেন, কিছু কিছু জেলে গভীর সমুদ্রে যাচ্ছেন বটে কিন্তু পাড়েরহাটসহ বিভিন্ন মোকামে সিন্ডিকেটের কারণে মাছের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। জেলেদের জন্য সরকার যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে তা অপ্রতুল। দুবলা ফিসারমেন গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, দুবলারচর অঞ্চলের ৭/৮ হাজার জেলের মাছ বিক্রি করা কয়েক কোটি টাকা ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোকাম ও কোম্পানীতে বকেয়া পড়ে থাকায় জেলেদের এখন না খেয়ে থাকার উপক্রম। করোনার অজুহাতে কোম্পানী মালিকরা টাকা দিচ্ছেন না।
পাথরঘাটার মৎস্যজীবী মিজানুর রহমান পিন্টু জানান, করোনার কারণে পাথরঘাটা, পাড়েরহাট, কলাপাড়া, শরণখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার জেলে বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিছু জেলেরা মাছ ধরলেও লকডাউনে মাছ পরিবহণ ব্যহত হওয়ায় তা বিক্রি করতে পারছেন না। শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, করোনার কারণে শরণখোলার সাত সহস্রাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েছেন। তারা নদী ও সাগরে যাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম খোকন জানান, করোনার কারণে ফিশিং বোটসমূহ সাগরে যেতে না পারায় বোট মালিক ও কয়েক হাজার জেলে আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন। তার উপর ২০ মে থেকে সাগরে মাছধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় জেলেদের কাছে তা দুঃসংবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও বেলায়েত হোসেন বলেন, জেলেদের জীবিকার কথা চিন্তা করে বনবিভাগ সুন্দরবনে মাছ ধরার পাশ পারমিট চালু রেখেছেন।
Comment here