জাতীয়

আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

দেখতে দেখতে বঙ্গবন্ধু হত্যার ৪৫ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ঘাতকরা তার বিচার প্রক্রিয়াও দীর্ঘ ২১ বছর বাধাগ্রস্ত করে রেখেছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘাতকদের বিচার করেছে। উচ্চ আদালতে আপিলের পর ১২ খুনির ফাঁসির রায় বহাল থাকে, তাদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া ৬ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হলেও দৃশ্যমান খুনিদের বাইরে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়ক কারা ছিলেন, সে সত্য দেশবাসী এখনও জানতে পারেনি। এবার জাতীয় শোক দিবসের প্রাক্কালে বিভিন্ন মহল থেকে সেই নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করার আহ্বান উচ্চারিত হয়েছে। দেশের সব মানুষের আশা সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের নায়ক-কুশিলবদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হোক।

বঙ্গবন্ধু হত্যা রহস্য উন্মোচন এবং দৃশ্যমান খুনিদের বাইরে থেকে কারা হত্যাকারীদের মদদ জুগিয়েছে, কারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সুবিধাভোগী হয়েছিল তাদের খুঁজে বের করতে ১০/১২ বছর আগেই দৈনিক সংবাদ বিভিন্ন প্রতিবেদন ও উপ সম্পাদকীয়তে কমিশন গঠনের বিষয়টি তুলে ধরেছিল। এরপর সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে একটি কমিশন গঠনের দাবি তুলেছিলেন। এবার জাতীয় শোক দিবসের প্রাক্কালে অনেকেই এ দাবি জানাচ্ছেন।

১৫ আগস্টে পৃথিবীর জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে দিনটি। তবে এবার বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হবে।

Comment here