মঠবাড়িয়া

মঠবাড়িয়ায় শিশূকে মানুষের কৃমি নাশক ওষূধের পরিবর্তে পশুর ওষূধ!

 মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
কোলে দুই বছরের শিশুটির মা বাচ্ছার সুস্থতার জন্য মিরুখালী বাজারে তালুকদার ফার্মেসীতে গিয়ে কৃমির ওষধ চাইল। ওষধ ব্যবসায়ী গৃহবধুকে পশুর কৃমি নাশক ধরিয়ে দিল। খেয়ে শিশুটি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে ৭দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিল। অবশেষে ভ্রাম্যমন আদালতে দোষ স্বীকারে ব্যবসায়ী কামাল তালুকদারকে অর্থদন্ড দিতে হল। ভাগ্য ভাল এ যাত্রায় অপচিকিৎসার স্বীকার শিশুটি বেঁচে গেল। মঠবাড়িযার অধিকাংশ ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা একেকজন এমবিবিএস ডাক্তার!

মঠবাড়িয়ায় আয়েশা নামে দুই বছরের এক শিশুকে অপচিকিৎসার দায়ে কামাল তালুকদার (৫২) নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যামান আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে মিরুখালী বাজারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিপন বিশ্বাস ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানাজায়, গত ০৮ অক্টোবর মিরুখালী গ্রামের লাইলী বেগম নামে এক গৃহবধু তার দুই বছরের শিশু সন্তানের জন্য কৃমির ট্যাবলেট আনতে ওই ফার্মেসীতে যায়। এসময় ওই ফার্মেসীর মালিক কামাল তালুকদার তাকে রেনাডেক্স ভেট নামে একটি ট্যাবলেট শিশুটিকে খাওয়ানোর জন্য দেয়। শিশুটির মা লাইলী ওই ট্যাবলেটের অর্ধেক খাওয়ানের পর শিশুটি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরের দিন শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ওই ট্যাবলেটের বাকী অংশ দেখায়। এসময় চিকিৎসক ওই ট্যাবলেট মানুষের নয় পশুর কৃমি নাশক ট্যাবলেট বলে নিশ্চিত করে।

এ ঘটনায় ওই শিশুটির মা লাইলী বেগম মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যামান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাছে অভিযোগ করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালত এ দ-াদেশ প্রদান করেন।

 

Comment here