ব্রেকিং নিউজ

বাংলাদেশকে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজিমুক্ত করতে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই: চরমোনাই পীর

বাংলাদেশকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্ত করতে সংখ্যানুপাতিক (Proportional Representation–PR) ভিত্তিক নির্বাচনী ব্যবস্থা চালুর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আজ মুক্তি চায়—চাঁদাবাজ, দখলবাজ, গুম-খুন ও ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে। গত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণকে শুধু প্রতিশ্রুতির ফাঁদে ফেলেছে। তাই জনগণের প্রকৃত মুক্তি নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচনী ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার আনতে হবে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনই হতে পারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ।”

তিনি বলেন, “আমরা মানবতার স্বার্থে সবসময় সক্রিয়। ইসলাম, দেশ ও জাতির সংকটময় মুহূর্তে অতীতেও পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। আমরা সময়মতো দেশের জনগণের পক্ষে চূড়ান্ত অবস্থান নেব।”

চরমোনাই পীর আরও বলেন, “গত ১৬ বছরে দেশের ১৮ কোটি মানুষ চাঁদাবাজি, দখলদারি, হামলা-মামলা ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এই বৈষম্য ও দুঃশাসনের ফলেই জনগণ আজ পরিবর্তন চায়। আমরা চাই ভবিষ্যতে যেন আর কোনো নিরীহ নাগরিক নিপীড়নের শিকার না হয়।”

মানবাধিকার ইস্যুতে বিদেশি কার্যালয় স্থাপন নিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষায় বিদেশি কোনো কার্যালয়ের প্রয়োজন নেই। বরং এসব কার্যালয় দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া হাওলাদার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ মনিরুল হাসান।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, জেলা সহ-সভাপতি নজরুল আহসান, ঝালকাঠি জেলা শাখার সম্পাদক ইবরাহিম আল হাদি, জেলা জাতীয় ওলামা মাশায়েখ ও আইম্মা পরিষদের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, এইচ. এম. জিয়াউল করিম, বাদশা জোমাদার, যুব আন্দোলনের জেলা সম্পাদক মুহাম্মাদ হাফিজুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মাদ তরিকুল ইসলাম এবং মুহাম্মাদ মুহিবুল্লাহ হাওলাদারসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

 

Comment here