ব্রেকিং নিউজ

প্রসূতি নারীকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে পিরোজপুর আদালতে মামলা

পিরোজপুরে প্রসূতি নারীকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে আদালতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রসুলের আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত তা আমলে নিয়ে সিভিল সার্জনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

ভুক্তভোগী নারী ফতেমা পিরোজপুর পৌরসভার পশ্চিম শিকারপুর এলাকার দিনমজুর মো. হযরত আলী স্ত্রী। ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণে তাঁর স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে। এজন্য ন্যায় বিচারের দাবিতে তিনি আদালতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু সালেহ ওমান বলেন, প্রসূতি নারী ফতেমা বেগমকে বাচ্চা প্রসবের আগে ও পরে ভুল চিকিৎসা করে ওভারডোজ ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে। এজন্য ভুক্তভোগীর স্বামী ন্যায় বিচারের দাবিতে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়ার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আবু সালেহ বলেন, চলতি বছরের ৩১ মার্চ মুসলিম এইড কমিউনিটি ক্লিনিক হাসপাতালে অভিযুক্ত গাইনি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়া ভুক্তভোগী ফতেমাকে সিজার করে পরবর্তীতে ওষুধ দেয়। এরপর থেকে ফাতেমার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে উঠে পচন ধরে। মুখমণ্ডল ও চোখের পর্দা ফুটো হয়ে যায়। বারবার চিকিৎসকের কাছে গেলেও তিনি কোনো রকম সেবা না করে ঢাকায় রেফার্ড করে দেন। চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়ার বিরুদ্ধে অপচিকিৎসা ও অবহেলা করে রোগীর জীবন হুমকিতে ফেলার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।

আইনজীবী আবু সালেহ ওমান বলেন, ভুক্তভোগীকে অপচিকিৎসা ও অবহেলা করে তাঁকে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। জেলা হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়া এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী বলে মনে করেন বাদী। তাই আমরা ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের কাছে গেলে আদালত দীর্ঘ শুনানির পরে মামলাটি আমলে নিয়ে পিরোজপুরের সিলিভ সার্জনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী মো. হযরত আলী অভিযোগ করে বলেন, বাচ্চা প্রসবের আগে ও পরে তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়ার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসা, অতিরিক্ত ওষুধ প্রদান ও অবহেলায় রোগীর অবস্থা মৃতপ্রায়। তাঁর মুখমণ্ডলে পচন ধরে গেছে, চোখের পাতা ছিদ্র হয়ে গেছে। রোগীকে শেষ পর্যায়ে তিনি রেফার্ড করেছেন। আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করেও আজ ব্যর্থ। আমরা এই অপচিকিৎসার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’

অপচিকিৎসার অভিযোগ অস্বীকার করে চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়া বলেন, তিনি কোনো অপচিকিৎসা করেননি। এ বিষয়ে কাগজপত্র দেখে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

Comment here