বিশেষ প্রতিবেদন

এ নিয়ে চারবার ছুরিকাঘাতের শিকার সাবেক এমপিকন্যা অদিতি।। রহস্যটি কি? কারণ বারবার একই ঘটনা ঘটবে আর প্রশাসন সহ পুলিশ বিভাগ হয়রানির শিকার হবেন তা কারো কাম্য নয়।

বিশেষ প্রতিবেদক:
পিরোজপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রামানন্দ পালের সরকারি বাসায় ঢুকে তার স্ত্রী এমপি কন্যা অদিতি বড়ালকে ছুরিকাঘাত করে জখম করেছে এক দুর্বৃত্ত। এ সময় বাসায় তিনি একা ছিলেন। তার স্বামী রামানন্দ পাল তখন কর্মস্থলে ছিলেন। এ নিয়ে চারবার ছুরিকাঘাতের শিকার অদিতি। অদিতি বড়াল বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কালিদাস বড়াল ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়ালের মেয়ে। বারবার একই ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ছুরিঘাতের ঘটনা সত্যি না নাটক? এর আসল রহস্য খুঁজে বের করা দরকার বলে মনে করেন সচেতন মহল।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের কৃষ্ণনগরের সরকারি ডরমেটরি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় অদিতি বড়ালকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. সাকিল সরোয়ার জানান, ছুরিকাঘাতে তার পেটে সামান্য জখম হয়েছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, দুপুরে এক ব্যক্তি সরকারি কোয়াটারে ঢুকে এসিল্যান্ড রামানন্দ পালের বাসায় দরজা খুলতে বলে। এ সময় তার স্ত্রী দরজা খুললে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং হামলাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতলে ছুটে যাই। তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ বিভাগকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় একইভাবে এক দুর্বৃত্ত অদিতি বড়ালকে পিরোজপুরের ওই সরকারি বাসায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই সময় পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করা হলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
এছাড়া ওই বছরের (২০১৮) ৩ জুলাই রামানন্দ পাল বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত অবস্থায় একবার এবং ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাগেরহাটে থাকাকালে আরও একবার অদিতি বড়ালকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ আগস্ট বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্র সাধনার মোড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে অদিতার বাবা কালীদাস বড়ালকে চরমপন্থীরা গুলি করে হত্যা করে। কালীদাস বড়াল ছিলেন বাগেরহাট জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও চিতলমারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
কেনো একই ঘটনা বারবার সংঘটিত হচ্ছে, এ নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ছুরিঘাতের ঘটনা সত্যি না নাটক? ঘটনার অন্তরালে কি ঘটনা লুকিয়ে আছে তা খুঁজে বের করা দরকার বলে মনে করেন সচেতন মহল। কারণ বারবার একই ঘটনা ঘটবে আর প্রশাসন সহ পুলিশ বিভাগ হয়রানির শিকার হবে তা কারো কাম্য নয়।

Comment here