ব্রেকিং নিউজ

অবশেষে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ঘটনা উন্মোচিত হলো

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দু’সপ্তাহ আগে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের কে নিয়ে একাধিক যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল অবশেষে এ অপপ্রচারের ঘটনা উন্মোচিত হলো। সম্প্রতি মন্ত্রী রেজাউল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দেওয়াসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে কয়েকজন নারী-পুরুষকে দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় মন্ত্রীর ছোট ভাই একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরে আলম সিদ্দিকী শাহিন তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়পুর গ্রামের সচীন মজুমদারের ছেলে সুব্রত মজুমদার টুপাই (৩৫), একই উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের রানী মণ্ডল (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার দাইতমন্ডল গ্রামের সোবাহান ভুইয়ার মেয়ে সীমা আক্তার (৩৯) ও কুড়িগ্রাম জেলার নাগেরশ্বরীর আব্দুস সত্তারের মেয়ে সাথি আক্তারকে (৪১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা সামজিকভাবে খুবই বিতর্কিত বলে এলাকার লোকজন জানান। তবে হিন্দু সেজে ভিডিও করেছিল সীমা আক্তার।

জানা গেছে, ওই ভিডিওতে সীমা আক্তার ও সাথী আক্তারের কপালে সিঁদুর ও হাতে শাখা পড়িয়ে হিন্দু পরিচয়ে তাদের দিয়ে মন্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কটূক্তি করানো হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের দুই দফা জিজ্ঞাসায় তাদের কাছ থেকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন ভিডিও তৈরিতে রাজনৈতিক একটি প্রভাবশালী মহলের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে মন্ত্রী, তার পরিবার ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এমন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মিলছে। ভিডিও তৈরি করা নারী সীমা আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি হিন্দু নন, মুসলিম। তিনি টাকার বিনিময়ে হিন্দু সেজে ভিডিওতে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এ ভিডিও বানানোর মূল অর্গানাইজার সুব্রত মজুমদার টুপাইও এসব তথ্য দিয়েছেন।

জানা যায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক একটি ভিডিও তৈরি করে বিদেশ থেকে আপলোড করা হয়। রমনা থানায় দায়ের করা হয়। মামলা। তখন দুই মহিলা গ্রেফতার হয়ে কোর্টে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়ে বলেছে অর্থের বিনিময়ে তারা হিন্দু মহিলা সেজে ভিডিওটি করেছে।
ভিডিওটি তৈরি করা মহিলা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেছে সে হিন্দু নয়, মুসলিম। (তাকে হিন্দু সাজিকে ভিডিও করেছে) টাকার বিনিময়ে এই কাজ করেছে। তাদের জবানবন্দি তে সুব্রত মজুমদার টুপাই নামের মুল অর্গানাইজার ধরা পড়ে সি আই ডিতেতে সব স্বীকার করেছে।, টুপাই সব স্বীকার করে বলেছে, স্থানীয় এক সাবেক এমপির পরিকল্পনা ও অর্থ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম রেজাকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে এই নাটক তৈরি করা হয়েছে। এ চক্রটি শ ম রেজাউল করিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের কে নিয়ে একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে দু সপ্তাহ ধরে এলাকায় ঝড় উঠেছে। নিজ নির্বাচনী এলাকা ও জেলা শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, সুশীল সমাজ, সচেতন মানুষ অভূতপূর্ব প্রতিবাদ করেছে। নাজিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে মন্ত্রীর বাবা শেখ আব্দুল খালেকসহ তার পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সব পুরুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তিনি স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে আমরা এ এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা তার বাড়িতে বসে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়েছি। অথচ তাকে (মন্ত্রীর বাবা) স্বাধীনতাবিরোধী বলে অপ্রচার চালানো হয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে।

সুশীল সমাজ ও সচেতন মহলের অভিমত, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে তাই বলে কি এমন নীচু ষড়যন্ত্র কাম্য নয়। ঘটনা উন্মোচিত এবং নেপথ্যে নায়কদের নাম প্রকাশ হওয়ার পর এরা সাধারণে মুখ দেখাবে কি করে? লজ্জাই এদের গলার ভূষণ। এদের ঘৃনা করতেও ঘৃণা হয়।
তারা আরো অভিমত প্রকাশ করেন যে, শ ম রেজাউল করিম একদিনে তৈরি হয় নাই, দুই এক মিনিটের মিথ্যা বানোয়াট ভিডিও ক্লিক বানিয়ে তাকে দাবায়ে রাখা যাবে না।

Comment here