গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত রেনিটিডিন জাতীয় ট্যাবলেটে জেনট্যাকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এদিকে জেনট্যাক ছাড়াও আরো চারটির বেশি কোম্পানির তৈরি ওই ওষুধে ক্যান্সারের উপাদান পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববাজার থেকে ওষুধটি তুলে নেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।গ্লোবাল নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপোটেক্স, প্রো-ডক লিমিটেড, স্যানিস হেলথ এবং সিভেম ফার্মাসিউটিক্যালস নিজেদের রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে চেয়েছে।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন পূর্ব সতর্কতা হিসেবে রেনিটিডিন ভারতের বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি বিশ্ববাজার থেকে তারা ট্যাবলেটটি প্রত্যাহার করে নিতে চায়।চলতি মাসের শুরুর দিকে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক করে দেয়, রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জীবাণু পাওয়া গেছে। সেখানে বলা হয়, পাকস্থলীর প্রদাহ এসব ওষুধে কমে গেলেও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।ওই সময় বলা হয়, সনোফির এসএ জেনট্যাক ট্যাবলেটে এ ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। রেনিটিডিন গ্রুপের রেনট্যাক, রেনট্যাক-ওডি, আর-লক, রেনিটিনও গ্যাসের ট্যাবলেট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এত কিছুর পরও ওই ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এরপরই রেনিটিডিন প্রত্যাহারের ঘোষণা এল।বিশ্ব বাজার থেকে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন তাদের রেনিটিডিন জাতীয় ট্যাবলেট প্রত্যাহার করে নিতে চাইলেও অন্য সংস্থার তৈরি এ জাতীয় ওষুধের কী হবে-তা এখনো জানা যায়নি।সম্প্রতি ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভারতের সব রাজ্যের ওষুধ বিভাগের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চায়, রাজ্যের কোথাও রেনিটিডিন উৎপাদন হচ্ছে কি না। সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের পর ডিসিজিআইকে জানানোর নির্দেশও দেয়া হয়। ওই ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চিঠি ইস্যুর পর গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন বাজার থেকে রেনিটিডিন তুলে নেয়ার ঘোষণা দিল।চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, তারা ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেবেন। তার পরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে রেনিটিডিন ও রেনিটিডিন গ্রুপের অন্যান্য সব ট্যাবলেট প্রত্যাহার করে নেয়ার ব্যাপারে কয়েকদিন আগেই ঘোষণা দিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা স্যানডোজ।
Comment here