মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
যৌতুকের ১০ লক্ষ টাকা না পেয়ে ১ সন্তানের জননী মোসাঃ আসমা আক্তার নামে এক হোমিও ডাক্তার ও তার চেম্বারে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্বামীর নির্যাতনের শিকার আসমা আক্তার নামে ঐ ডাক্তারকে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে,গত ১৬ বছর পূর্বে মঠবাড়িয়া উপজেলার পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের ডাঃ আব্দুর রহমানের মেয়ে আসমা আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তি উপজেলার হরিণপালা গ্রামের মকবুল হাওলাদারের পুত্র হারুন হাওলাদারের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের সময় মেয়ে জামাতা হারুনকে যৌতুক হিসেবে নগদ ১ লক্ষ টাকা ও প্রায় ৬০ হাজার টাকার মালামাল যৌতুক দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গৃহবধু আসমা আক্তার জানান,বিবাহের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী হারুন হাওলাদার ব্যবসা করার জন্য পিতা-মাতার নিকট হইতে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক আনিয়া দিতে বলে।দাবিকৃত যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী হারুন হাওলাদার।দাবিকৃত যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী হারুন হাওলাদার কয়েকমাস পূর্বে তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। দাবিকৃত যৌতুকের ১০ লক্ষ টাকা না পেয়ে বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০.৩০ টার দিকে তুষখালী ঐশি হোমিও হলে হামলা চালিয়ে স্ত্রী আসমাকে বেদম মারপিট করে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) আঃ হক জানান,”এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে।
Comment here