নানা অনিয়মের অভিযোগে পিরোজপুর ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনভর এ অভিযানে রোগীদের সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগ নির্ণয় পরীক্ষার জন্য দালালদের দৌরাত্ম্যসহ প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকার ওষুধের হিসাবে গড়মিল, হাসপাতালের রান্না ঘরে অনিয়ম, রোগীদের খাবারে কম দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণও পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক আরএমও ডা. নিজাম উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান শেষে দুদকের পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, অভিযানকালে হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রারে ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও বাস্তবে সেখানে কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হয় নাই। তেমনই স্টোর (গুদাম) রুমে অভিযান চালানোর সময় কাগজ কলমে ঠিকাদারের মাধ্যমে সব ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও আদতে প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ওষুধের হদিস পাওয়া যায় নাই।
এ সময় স্টোর কিপার আল আমিন জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাউথ বাংলা কর্পোরেশান ঠিকমতো ওষুধ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়ে সম পরিমাণ অর্থের তিনটি তারিখবিহীন চেক সিভিল সার্জন বরাবরে জমা দিয়েছে।
সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, ওষুধ, খাবারের মান ও টেন্ডারের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে কমিশনে পাঠানো হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযানের শুরুতেই দুদকটিম হাসপাতালে ঢোকার সময় ২ দালালকে আটক করে। পরে তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মোবইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আটককৃতরা হলো মো. রাহাত রব্বানী (২৪) এবং রাজিব মন্ডল (২০)। তার দুজনেই স্থানীয় শেফা ডায়গনস্টিক ক্লিনিকের কর্মী বলে জানান।
Comment here