পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা হাটে সরকার নির্ধারিত বৈধ ইজারাদারকে ইজারা তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নাসির উদ্দীন তালুকদার ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। সরকার নির্ধারিত ইজারাদার আব্দুর রহিম মিয়া এ ঘটনায় নাসির উদ্দীন তালুকদার, হুমাউন মোল্লা, রুহুল আমীন, জাকির হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘আটঘরের আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন যাবত ওই হাটের ইজারা ক্রয়ের মাধ্যমে ইজারার টাকা তুলতেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান ১৪৩২ বাংলা সনের আটঘর হাটের ইজারা পান আব্দুর রহিম। যার মূল্য ২১ লাখ ২১ হাজার ২২১ টাকা। গত ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ হাটে ইজারা আদায় করতে গেলে সেখানকার এক দল চাঁদাবাজ টোল আদায় করতে বাধা দিয়ে উঠিয়ে দেয়। এ সময় ইজারাদার আব্দুর রহিমের সাথে থাকা লোকজনদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।’
আব্দুর রহিমের অভিযোগে আরও বলেন, ‘হাটের শিডিউল ক্রয়ের আগে থেকে বিএনপি নেতা নাসির তালুকদার, হুমাউন মোল্লা, রুহুল আমীনসহ তাদের বাহিনী আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি তা উপেক্ষা করে শিডিউল ক্রয় করে হাটের সব্বোর্চ দাম দিয়ে ইজারা পেয়েছি। এখন হাটে ইজারা তুলতে আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি নেতা নাসির তালুকদার চেয়েছিল অল্প টাকায় তার অনুগত কোনো লোককে ইজারা পাইয়ে দিয়ে মোটা অঙ্কের চাদা নেবেন। তিনি তা না পরায় হাট থেকে আমার লোকদের ইজারা তুলতে না দিয়ে নিজস্ব লোক বসিয়ে অবৈধ ইজারা তুলছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দীন তালুকদার বলেন, ‘আমি কাউকে ইজারা তুলতে বাধা দেইনি। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় সামনে এসে বলুক। দূর থেকে অনেকে অনেক কিছু করতে পারে, কিন্তু আমি নির্দোষ।’
স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সদস্য সচিব কাজী কামাল বলেন, ‘নেছারাবাদের আটঘরের হাট বৈধভাবে ইজারা হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা পেয়েছে। এখানে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোনো চাঁদাবাজি করতে যাবে না। যদি কেউ করে থাকে তাহলে ব্যক্তির দায় দল নেবে না।’
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হাট ইজারা দেওয়ার পর প্রথম দিন একটু সমস্যা হয়েছিল। এরপর কোন অভিযোগ পাইনি। শুনেছি তারা ডিসি মহোদয়ের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ডিসি স্যার কি ব্যবস্থা নেন তা আমি এখনো জানতে পারিনি। স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানান, গতকাল ১৬ এপ্রিল বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। বিষয়টি নেছারাবাদ ইউএনওকে দেখার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
Comment here