পিরোজপুর সদর

‘তত্ত্বাবধায়ক আমলে ক্ষমতার স্বপ্নে দুই দলের অনেকেই বিভোর ছিলেন’-শ ম রেজাউল করিম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ২০০৮ সালের ১১ জুন শেখ হাসিনার মুক্তি ছিল অপরিহার্য। তাই এ দিনটি বাঙালির জীবনে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ক্ষমতার স্বপ্নে দেশের কিছু ব্যক্তি ও দুই দলের অনেকেই বিভোর ছিলেন। তবে তাদের সে দিবাস্বপ্ন পূরণ হয়নি। কারাবন্দি শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত ছিল।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল তার একটিও প্রমাণ করতে পারেনি। আর আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বিধায় বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি আছেন বলেই এ দেশে একটা লোকও না খেয়ে মারা যায়নি। তিনি আছেন বলেই মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সরকারের ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী।
এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খামারিদের ২৫টি স্টল স্থান পায়। এসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের গো-খাদ্য ও ভিটামিন দেওয়া হয়।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রাণিসম্পদ খাতে এত উন্নতি হয়েছে, যে বিগত দিনে কোরবানির সময় ভারত ও মিয়ানমার থেকে যে গরু আমদানি করা হতো, এখন আর আমদানি করার প্রয়োজন হয় না। করোনায় যাতে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছি।
মন্ত্রী পরে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পিরোজপুরে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় যোগ দেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার এবং প্রকল্প বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এস এম আশিকুর রহমান। অবহিতকরণ সভায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মৎস্য কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা, মৎস্য খামারি ও মৎস্য চাষি, জেলেসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মন্ত্রী দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক ও ঝিনুক সংরক্ষণে গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক ও ঝিনুকের প্রজণন বৃদ্ধি করে এবং কৃত্রিমভাবে চাষাবাদের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এ বিষয়ে মৎস্য অধিদফতর ব্যাপক গবেষণা করে ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া দেশীয় প্রজাতির মাছের রেণু ও পোনা তৈরি করছে। যা দেশের খাল-বিল, নদী, হাওর-বাওর ও জলাশয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া কৃত্রিমভাবে শামুক ও ঝিনুকের চাষাবাদও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

Comment here