পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সদ্যঘোষিত কমিটিকে ‘বিতর্কিত’ ও ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হৃদয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১২ মে ঘোষিত ৬৮ সদস্যের কমিটিতে রাফি শিকদার মুন্নাকে সভাপতি ও আবু বকর ছিদ্দিক রনিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কিন্তু ওই কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, এমনকি কেউ কেউ বিবাহিত বলেও অভিযোগ তুলেছেন পদবঞ্চিতরা।
লিখিত বক্তব্যে আরও দাবি করা হয়, সভাপতি রাফি শিকদার মুন্না আওয়ামী রাজনীতির সুবিধাভোগী এবং ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। সাধারণ সম্পাদক রনিও দীর্ঘদিন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম টিটুর ছায়াতলে রাজনীতি করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, কমিটির অন্তত ৮ জন সদস্য ছাত্রলীগ ঘনিষ্ঠ ও বিবাহিত, যা ছাত্রদলের নীতিমালার পরিপন্থী। তারা অভিযোগ করেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তানজিদ রশিদ বাপ্পী আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ শাহরিয়ার শেখ, ফয়সাল আহমেদ, মো. ওয়ালিউল্লাহ, বর্তমান কমিটির সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক নুসরাত জাহান মিম, রিয়াজুল বেপারী, ফয়সাল হাওলাদারসহ অন্যান্য পদবঞ্চিতরা।
সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে পদবঞ্চিতরা কলেজ ক্যাম্পাস ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তানজিদ রশিদ বাপ্পী বলেন, “৫ আগস্টের পূর্বের রাজপথের কার্যক্রম ও কেন্দ্রীয় টিমের ৬ মাসের তদারকির ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার আগে অভিযোগ জানানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হলেও কেউ অভিযোগ করেননি। বর্তমানে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যারা এখন আন্দোলন করছেন, তাদের অনেকেই কলেজের ছাত্র নন।”
নতুন এই কমিটি নিয়ে তীব্র অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত পিরোজপুর কলেজ ছাত্রদল। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের হস্তক্ষেপ দাবি করছে পদবঞ্চিতরা।


Comment here