জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের পিরোজপুর জেলা কমিটির সভাপতি ও জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির জেলা সভাপতি তারিকুল ইসলাম নজিবুলের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, আর্থিক অনিয়ম এবং আওয়ামী লীগপন্থী নেতাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজীর রশিদ এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, নজিবুল বিএনপির পরিচয় ব্যবহার করে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কয়েকজন নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির বিভিন্ন পদে বসাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তিনি ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পিরোজপুর পৌর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি শ্রী নরোত্তম কুমার দাসকে অর্থের বিনিময়ে জেলা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সেক্রেটারি করা হয়েছে। একইভাবে নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেনকে উপজেলা আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাণ্ডারিয়া উপজেলার বিএনপি কর্মী রাজিব জোমাদ্দারের বৈধ কমিটি বাতিল করে যুবলীগপন্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, নজিবুল সরকারি প্রকল্পে প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম করেছেন। ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী খালের কাজ সম্পন্ন না করেও প্রায় ৬০ লাখ টাকার বিল উত্তোলনের প্রক্রিয়ায় তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। একই ধরনের অনিয়মের অভিযোগ সদর উপজেলার বলেশ্বর নদ খনন নিয়েও তোলা হয়েছে। এছাড়া জেলেদের কম্বল ও গরু দেওয়ার নাম করে জনপ্রতি টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগকারী তানজীর রশিদ বলেন, “নজিবুল আওয়ামী লীগপন্থী নেতাদের পুনর্বাসন করে বিএনপির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করছেন। তার বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
তবে এ বিষয়ে তারিকুল ইসলাম নজিবুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা আগেই এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগপন্থী নেতাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনিয়ম কিংবা আর্থিক সুবিধা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নরোত্তম কুমার দাস বলেন, “আমি দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সঙ্গে যুক্ত। আমি কোনো দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় নই। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হচ্ছে।”
Comment here