পিরোজপুরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনসহ ১৫০ জনের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় গত শনিবার অটককৃত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. হাসান আল মামুনসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জেলা কালেক্টরেট স্কুলের মূল গেটে পৌঁছলে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিছিল বের হয়। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের নির্দেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানাসহ আসামিরা তাদের ওপর বোমা হামলা করেন।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের অনেককে আহত করে। পরে আবারও তারা বিএনপি অফিসে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় ছাত্রলীগের ছোড়া গুলিতে এক ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও তাদের ওপর হামলা চালিয়ে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইফতেখার মাহমুদ সজল তাদের বিরুদ্ধে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বোমা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ক্ষতি করা বিএনপি জামায়াতের কাজ। আমরা (ছাত্রলীগ) সেখানে কোনো ধরনের হামলা করিনি। বরং তারা আমাদের ওপর বোমা হামলা করেছে। এতে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।