নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনরোধে কৌরিখাড়া গ্রাম রক্ষার্থে জিও ব্যাগে বালু ভরাটের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ছারছিনা পীরের বাড়ির সামনে সন্ধ্যা নদীর পাড়ে বস্তায় বালু ভরাট করা হচ্ছে দিন রাত।
৫ গ্রুপের এ কাজের একজন ঠিকাদার মোঃ রিপন বলেন, ২৭হাজার ৫০টি বস্থা ফেলা হবে সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ের কৌরিখাড়া অংশে। প্রতিটি বস্তায় ১৭৫ কেজির বেশি বালু ভরাট করা হচ্ছে। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৯৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে অব্যাহত ভাঙ্গনে নাকাল কৌরিখাড়া বাসির প্রাণের দাবী ছিলো ভাঙ্গন রোধ করা।
এ ব্যাপারে কৌরিখাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অরুন বসু বলেন, যুগ যুগ ধরে একাধিক এমপির দারস্ত হলেও কেউই এ ব্যাপারে কর্নপাত করেনি। বর্তমান মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নিকট মাত্র একবার গ্রামবাসি দাবী জানাতেই তিনি ভাঙ্গন রোধে তরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ মিলন বলেন, কৌরিখাড়াবাসির প্রাণের দাবী ছিলো নদীর ভাঙ্গন রোধে জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসবে। সাবেক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সুটিয়াকাঠি ইউপির হলেও তারা কোনই পদক্ষেপ নেননি ভাঙ্গনরোধে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রী রেজাউল করিমকে মাত্র একবার বলার পর তিনি যে গুরুত্ব দিয়ে ভাঙ্গনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন তা বিরল। আমরা মন্ত্রী রেজাউল করিমের উত্তর উত্তর সমৃদ্ধী কামনা করছি।
ভাঙ্গন কবলিত বাসিন্ধা সত্যজিত ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর এ তরিৎ পদক্ষেপে নদী ভাঙ্গন কবলিত কৌরিখাড়াবাসি আজীবন তাকে মনে রাখবে।
ঠিকাদার রিপন বলেন, উত্তর কৌরিখাড়া পোস্ট আফিসের দক্ষিণ পাশ থেকে ২৩০ মিটার দৈর্ঘের নদী শাসনের এ কাজ আগামী ১২ জুন সকাল ১১ টায় উদ্ভোধন করবেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
রিপন আরও বলেন, ২৩০ মিটার কাজের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে উত্তর কৌরিখাড়া ইছু হাজির বাড়ি পর্যন্ত ভাঙ্গন রোধে বালুর বস্তা ফেলা। এছাড়া দক্ষিণ কৌরিখাড়া ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীর ভাঙ্গন রোধেও দ্রুতই বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু হবে।
শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশে কৌরিখাড়া ভাঙ্গনরোধের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে

Comment here