নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুরের কাউখালী ও স্বরূপকাঠিতে উপজেলায় বাল্যবিয়ে দেওয়ায় অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে, কাউখালীতে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনের মা, বর ও কাজীকে ১৫হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছা. খালেদা খাতুন রেখার এর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত এ অর্থদন্ড দেন।
জানা যায়, উপজেলার শিয়ালকাঠী দারুছুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমাকে (১৪) বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৭(১) ধারায় কনের মা নাছিমা বেগম, বর বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার কুদ্দুস সেখের ছেলে রোকন সেখ (২৫) ও চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) হাবিবুর রহমান ৫ হাজার টাকা করে তিনজনকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলায় নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে জরিমানার আদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনে পুজা দাস (১৬) এর বাবাকে ১০ হাজার টাকা এবং বর সুজিত দাস (২৩) এর ভাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নেছারাবাদ সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বশির গাজী আদালত পরিচালনা করেন।
বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার জলাবাড়ি গ্রামে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট ওই অর্থদন্ডের আদেশ দেন।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জলাবাড়ি গ্রামের পুনম দাসের মেয়ে পুজা দাসের সাথে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জে সুজিত দাসের ছেলে সমির দাসের সাথে বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হন। প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই বিয়ের কার্য সম্পন্ন হয়ে যায়। পরে বাল্যবিবাহ নিরোধ-২০১৭ আইনে কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা এবং বরের ভাইকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। এসময় ছেলে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত উভয়কে একত্রিত করতে দেয়া হবেনা উভয় পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়।
Comment here