রাজনীতি

এ কে এম এ আউয়ালের অভিযোগ অস্বীকার মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি’র বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে জামিন বাতিল করার যে অভিযোগ এনেছেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী রেজাউল বলেছেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। মন্ত্রী হওয়ার পরে কোনো নিয়োগ বাণিজ্য,কমিশন বাণিজ্য করিনি, করবোও না ইনশাআল্লাহ।’
দুর্নীতির মামলায় নানা নাটকীয়তার পর মঙ্গলবার জামিন পান পিরোজপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি আউয়াল। এরপর তিনি বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পিরোজপুরে ওই সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শ ম রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, এ কে এম এ আউয়ালের সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি আইন পেশায় নতুন নই। এ পেশা থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে আয় করেছি। সে আয় থেকে জমি কিনেছি। গাড়ি নেওয়ার যে কথা তিনি (একেএমএ আউয়াল) বলেছেন তাও মিথ্যা অভিযোগ। তিনি আরও যেসব অভিযোগ করেছেন তাও ভিত্তিহীন। বরং সরকারের বিগত দুই মেয়াদে পিরোজপুরে কে কি করেছেন তা সবারই জানা।
ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নাজিরপুর-স্বরূপকাঠি উপজেলা) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পৃথকভাবে তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুটিতে এককভাবে আসামি করা হয়েছে আউয়ালকে। তিনটি মামলারই বাদী হয়েছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর।
ওই তিন মামলায় আউয়াল দম্পতি গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। প্রথমে তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে জেলা জজকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ষ্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়। এর দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য বিচারক তাদের জামিন দেন।

Comment here